বাংলাদেশকে যুদ্ধের ফাঁদে ফেলতে চায় মিয়ানমার?

আন্তর্জাতিক সবধরণের নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় একের পর এক ‘আগ্রাসী’ কর্মকান্ড করে যাচ্ছে মিয়ানমার। সীমান্তের শূন্যরেখা সংলগ্ন এলাকায় মাইন পুতে রাখার ঘটনা অত্যন্ত বিপদজনক হলেও তাই করছে দেশটি। আগে এ ধরনের মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গারা হতাহত হলেও এখন বাংলাদেশীরা এর শিকার হচ্ছেন। শুক্রবার বাংলাদেশী এক যুবকের পা উড়ে যায় এই মাইন বিস্ফোরণে। একইদিন মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গোলায় এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত এবং আহত হন ৫জন। যুদ্ধ পরিস্থিতি ছাড়া সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অবস্থান আন্তর্জাতিক নীতিবিরুদ্ধ হলেও দেশটি তা মানছে না। একইসঙ্গে দেশটির একরোখা আচরণে বাড়ছে উদ্বেগ, আতঙ্ক। মিয়ানমারের এই সীমা লঙ্ঘন কী চলতেই থাকবে, এ প্রশ্নও তৈরি হয়েছে সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে।

এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তমব্রু সীমান্তে গোলাবর্ষণে প্রাণহানির ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। এর আগেও একই ধরণের ঘটনায় তাকে তিনবার তলব করো কড়া প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ।

এদিকে মিয়ামারের সীমা লঙ্ঘনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি হওয়ায় ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে উঠছে বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ির বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম। ইতোমধ্যেই নিরাপত্তাহীনতার কারণে সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশের অভ্যন্তরের ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ওই গ্রামগুলোতে বসবাসরত নারী-শিশুসহ প্রায় ১৭ হাজার বাংলাদেশীর নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে। তাদের সরিয়ে নেওয়াসহ নিরাপত্তায় করণীয় সংক্রান্তে নির্দেশনা চেয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে ঢাকাটাইমসকে জানান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস। বিভাগীয় কমিশনার তা ঢাকায় পাঠাবেন।

অপরদিকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সিল করে দেওয়া হয়েছে ২০০ কিলোমিটার সীমান্ত। সংশ্লিষ্ট সীমান্তে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড- বিজিবির অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েনসহ টহল জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তের শূন্যরেখার কাছাকাছি কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না। বিজিবি সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্ণেল ফয়জুর রহমান শনিবার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বিজিবি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে যেন কোন অনুপ্রবেশ না ঘটে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিয়ানমার বাংলাদেশকে যুদ্ধের পথে উসকানি দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। বাংলাদেশকে যুদ্ধের ফাঁদে ফেলতে চায় কীনা তা নিয়েও প্রশ্নও তুলেছেন তারা। একাধিক কারণের মধ্যে দুটি কারণকে সামনে রেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমত, সে দেশে আটকা পড়া বাকি রোহিঙ্গারা যেন বাংলাদেশে চলে আসতে বাধ্য হয় সে পরিস্থিতি তৈরি করছে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশকে যুদ্ধে জড়িয়ে এ দেশে থাকা ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবসানের যে আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তাতে দীর্ঘসূত্রিতা বা ঝুলিয়ে রাখার ফাঁদ হতে পারে। বাংলাদেশ যাতে যুদ্ধে জড়ায় সেজন্য উসকানির অংশ হিসেবে তারা এ ধরণের কর্মকান্ড করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে চায়। প্রয়োজনে জাতিসংঘে যাবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিব জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে লন্ডনে অবস্থান করছেন। সীমান্তের ঘটনা তাদের ইতোমধ্যেই অবহিত করা হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াউ মোকে তলব করা হয়েছে।

এর আগেও মিয়ানমার থেকে একাধিকবার সীমান্তে মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হয়। সেই ঘটনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াউ মোকে তিনবার তলব করা হয়। গত ২০ ও ২৮ আগস্ট এবং ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার থেকে মর্টার শেল বাংলাদেশে এসে পড়ে। সে কারণে ২১ ও ২৯ আগস্ট এবং ৪ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। এরপরও সীমান্তে একের পর এক মর্টার শেল নিক্ষেপ করছে মিয়ানমার। অবশ্য মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে, আরাকান বাহিনীর সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘাত চলছে। আরাকান বাহিনীর ওপর ছোড়া মর্টার শেল বাংলাদেশ সীমান্তে এসে পড়ছে বলে দাবি করেছে মিয়ানমার।

মিয়ানমারের এই কর্মকান্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ শনিবার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘যুদ্ধে জড়ানোর চেয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে বাংলাদেশকে। মিয়ানমারের উস্কানির ফাঁদে পা না দিয়ে যেভাবে ধৈর্য্য ধরে বাংলাদেশ পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে, সেই পথেই হাঁটতে হবে বাংলাদেশকে।’

বাংলাদেশ ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে উল্লেখ করে এই নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোলা পড়ার ঘটনা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এমন পরিস্থিতিতে কঠিন কোনো সামরিক জবাব দেওয়া উৎকৃষ্ট হবে না।’ যেহেতু মিয়ানমার বারবার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ কূটনীতি আরও জোরদার করতে পারে বলে মন্তব্য করেন মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ।

এসব উস্কানি মিয়ানমারের ফাঁদ কি না- সে বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ট্র্যাপ (ফাঁদ) হতে পারে। পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কেননা, জীবন হুমকিতে পড়লে তো রোহিঙ্গারা পালাবেই। আর পালালে তারা বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করবে। মিয়ামারের উদ্দেশ্য কী তা পরিষ্কার হতে আন্তর্জাতিক ফোরামে এ বিষয় নিয়ে বাংলাদেশকে কথা বলতে হবে।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে রোহিঙ্গরা রয়েছে তাদের প্রত্যাবসান প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে বা ঝুলিয়ে রাখতে যুদ্ধের উস্কানি দিয়ে থাকতে পারে মিয়ানমার।

এদিকে সীমান্তে মিয়ানমারের মাইন পুতে রাখাকে চূড়ান্তভাবে আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘণ বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বারবার আমাদের সীমান্ত, আকাশ সীমা লঙ্ঘণ করছে মিয়ানমার। এগুলো হচ্ছে মিয়ানমারের ধৃষ্টতা। তারা আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে পার পেয়ে যায়। তাই বারবার করে যাচ্ছে। অতীতে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়নি বলে তারা এই ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে।’

আর রোহিঙ্গা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘মিয়ানমার ইচ্ছাকৃতভাবে কখনো কখনো মর্টারশেল নিক্ষেপ করছে। একটা চাপ সৃষ্টি করে তারা চায় যে, মিয়ানমারে থাকা বাকি রোহিঙ্গরাও যেন বাংলাদেশে বা অন্যান্য দেশে চলে যায়। এটা সাম্প্রতিক গোলা ছোঁড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করি। এছাড়া বাংলাদেশ যাতে যুদ্ধে জড়ায় সেজন্য উস্কানিও দেওয়া হচ্ছে। এটাও আরেকটি কারণ যে, যুদ্ধে জড়ালে তারা আরও বেশি পরিমাণে রোহিঙ্গা নীপিড়ন করবে। সেক্ষেত্রে আর কোনো উপায় না দেখে বাকি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য চেষ্টা করবে।’

ঘুমধুম ইউনিয়নের ১২ গ্রামে আতঙ্ক

আর্টিলারি, মর্টারশেল ও গোলার বিকট শব্দে কাঁপছে ৬৪.৭৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ঘুমধুম ইউনিয়ন। সীমান্তবর্তী এই ইউনিয়নে কচুবনিয়া, তমব্রু, দক্ষিণ ঘুমধুম, ফাত্রাঝিরি, বরইতলী পাড়া, বাইশপারী, ভাজবানিয়া, রেজু গর্জনবনিয়া, রেজু বৈদ্যরছড়া, রেজু মগপাড়া, রেজু হেডম্যানপাড়া- এই ১২টি গ্রাম রয়েছে। সর্বশেষ জনশুমারী অনুযায়ী যার জনসংখ্যা ১৬ হাজার ৪৭৯ জন। সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে গোলা এসে যেসব স্থানে পড়ছে, তা এই ইউনিয়নেই। এখানকার তমব্রু, বাইশপারী ও হেডম্যান গ্রাম অতিরিক্ত ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এই এলাকায় একটি কলেজ, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি দাখিল মাদ্রাসা ও ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনায় আতঙ্কের মধ্যেই রয়েছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তাদের নিয়ে অভিভাবকদের উদ্বেগের সীমা নেই।

এ বিষয়ে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি শনিবার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সরকার মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কঠোর অবস্থানে আছে। সরকারের এই মুহূর্তে জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।’

জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে উদ্যোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমরা জনগণকে নিরাপদে থাকার নির্দেশনা দিয়েছি স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বরের মাধ্যমে। আমরা জরুরী সভাও আহবান করেছি। সবাই মিলে বসে সিদ্ধান্ত নেব সীমান্তের মানুষদের আরো কিভাবে নিরাপদে রাখা যায়।’

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস শনিবার ঢাকাটাইসকে বলেন, ‘আমরা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে সীমান্ত পরিস্থিতি অবহিত করেছি। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে এসব বিষয়ে। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দিকনির্দেশনা চাওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে। আমরা এখন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।’ ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ঘুমধুমের তমব্রু সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওয়ালিডং ও ওখ্যমংসেক পাহাড়ে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী বেপরোয়া গুলিবর্ষণ, আর্টিলারি ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করছে আরাকান আর্মিসহ বিদ্রোহীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে। এক মাসের বেশি সময় ধরে এ অবস্থা চলছে। যার কিছু এসে পড়ছে বাংলাদেশ ভূখন্ডে। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রটি সরিয়ে উখিয়ায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

এদিকে রাখাইন রাজ্যের ওয়ালিডং পাহাড়ের পাদদেশে শূন্যরেখায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয়শিবির। সেখানে পাঁচ বছর ধরে বাস করছেন ৪ হাজার ২০০ জনের বেশি রোহিঙ্গা। আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি) শিবিরের রোহিঙ্গাদের খাবার ও ত্রাণসহায়তা দিয়ে আসছে। ওই ক্যাম্পেই শুক্রবার মিয়ানমারের গোলা এসে পড়লে ইকবাল নামের এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত এবং আরও ৫ জন আহত হন।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ আগস্ট থেকে তমব্রু সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওয়ালিডং ও খ্য মং সেক পাহাড়ে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) যুদ্ধ চলছে। স্থল ও জলসীমায় তৎপরতা বাড়িয়েছে মিয়ানমার। তিন দিন ধরে সেন্ট মার্টিনের বিপরীতে (পূর্ব দিকে) মিয়ানমার জলসীমায় দেশটির তিনটি নৌবাহিনীর জাহাজ তৎপরতা শুরু করেছে। তবে সেখানে তৎপর আছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডও।